Chia Seed (চিয়াসিড)

wafa organic food in Khulna. The best grocery shaping our healthy food. Our lifestyle depends on organic food.

Product Description:

চিয়া বীজ (সালভিয়া হিস্পানিকা)বা চিয়া উদ্ভিদের অন্তর্ভুক্ত, যা পুদিনা পরিবারের একটি প্রজাতি। এই বীজটি, মধ্য আমেরিকার অনেক অংশে পাওয়া যায়। একে এক ধরণের ভেষজও বলা হয়। চিয়া স্বাভাবিকভাবেই শস্যের শ্রেণিতে পড়ে। চিয়াতে রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান। উদাহরণস্বরূপ,

দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশী ক্যালসিয়াম

কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি

পালং শাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশী আয়রন (লোহা)

কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম

স্যামন মাছের থেকে ৮ গুণ বেশী ওমেগা-3

 বাদামের চেয়ে বেশি ওমেগা -3 এবং অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত । যা ব্যক্তিকে প্রচুর পরিমাণে শক্তি সরবরাহ করে। চিয়া বীজ ওজন হ্রাস করার জন্য উপকারী কারণ এটির মধ্যে চর্বি শোষণ করার ক্ষমতা বেশি। যা ব্যক্তির শরীরে পানির অভাব পূরণে সহায়তা করে।               

চিয়া বীজের পুষ্টিকর উপাদান: ভিটামিন ও মিনারেলসঃএতে রয়েছে শর্করা, ফাইবার,  দস্তা,তামা,পটাশিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ,ফসফরাস,কপার,সেলেনিয়াম,আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম,ক্যালশিয়াম    

 এবং চিয়াবীজ, প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, আলফা-লিনোলেনিক এবং লিনোলিক অ্যাসিড, পাশাপাশি ভিটামিন এ , বি, ই, ডি এবং সালফার, আয়রন, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, নিয়াসিন এবং থায়ামিন সহ খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির একটি প্রধান উৎস। যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।     

   চিয়াসিড খাওয়ার উপকারিতা

১.চিয়াসিডে থাকা ওমেগা-৩ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে।

২. শরীর থেকে টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ)বের করে আনে এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা ও পেটের প্রদাহজনিত বা গ্যাসের সমস্যা দূর করে।

৩.ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে,ক্যানসার রোধ করে।

৪.শরীরের পুষ্টি, ভিটামিন ও মিনারেল এর ঘাটতি দূর করে

৫.ডায়েট কন্ট্রোল করার সময়ে শরীরের ঘাটতি দূর করে

৬. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।

৭.হজমে সহায়তা করে। 

৮.ওজন কমাতে এটি বেশ কার্যকর(মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করার মাধ্যমে)।

 ৯.এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।                      

১০. ব্লাড সুগার(রক্তের চিনি)  নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।        

১১.কোলন বা মলাশয় পরিষ্কার রাখে। ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুকি কমে।                       

১২.শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়।                      

১৩.দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।( প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায়)।              

১৪.এটি প্রচুর ক্যালসিয়ামযুক্ত হওয়ায় হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে হাটুব্যাথা ও জয়েন্টের ব্যাথা দূর করতে সহায়তা করে।              

১৫.এতে আছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন। এটি শরীরের দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।      

১৬.এছাড়াও নখ, চুল ও ত্বক সুন্দর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম

বিভিন্ন দেশের চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম বিভিন্ন রকম। স্বাদ ও ঘ্রাণবিহীন এই খাদ্যটি যেকোনো খাবারের সাথেই খাওয়া যায়। ১ গ্লাস পানিতে ১/২  চামচ চিয়াসিড ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে খালি পেটে খেলে শরীরের উপকার হয়। আবার সারাদিনে প্রতি কাপের চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।                       

সকালে ও রাতে পানি ও লেবুর রসের সাথে চিয়াসিড খেলে পেটের উপরকার হয়।      

     প্রতিদিন সকাল ও রাতে ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চামচ চিয়াসিড এবং ১ চামচ লেবুর রস ও ১-২ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। 

চিয়া সিড একটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, যা বিভিন্ন উপকারী পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে, যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এটি ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকর। চিয়া সিডে প্রোটিন থাকার কারণে এটি পেশি গঠনে সহায়ক। এতে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

চিয়া সিডে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকাল থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যা ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। তাছাড়া, চিয়া সিড ইনফ্লেমেশন কমিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

চিয়া সিড সহজেই পানিতে ভিজিয়ে জেলির মতো করে বা স্মুদি, সালাদ ও দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি একটি শক্তি-উৎপাদনকারী খাবার হিসেবে পরিচিত।